মুখ‍্যমন্ত্রীর ছবিতে গোবর লেপে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

11th November 2020 11:10 pm বর্ধমান
মুখ‍্যমন্ত্রীর ছবিতে গোবর লেপে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  বিহার ভোটের ফলাফল প্রকাশ হবার দিন রাতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে গোবর লেপে দেবের অবিযোগ উঠলো  বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ।এই ঘটনাকে কেন্দ্রকরে বুধবার সকাল থেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ ব্লকের লোহাই গ্রামে ।ঘটনার জেরে  এদিন লোহাই গ্রামে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘাত চরমে ওঠে । এলাকার বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতিরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব । ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসীম কুমার পাল এদিন ৬ জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে মাধবডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন । পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে । উত্তেজনা থাকায় এলাকায় জারি রয়েছে পুলিশ টহল ।  তৃণমূল নেতা অসীম কুমার পাল জানিয়েছেন , রায়না ২ ব্লকের আড়ুই গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহাই গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে । সেই কার্যালয়ের দেওয়ালে সুন্দর করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ণাবয়ব ছবি অাঁকা রয়েছে । অসীম বাবু বলেন ,মঙ্গলবার বিহারের বিধানসভা ভোটের ফালাফল ঘোষনা হয় ।বিহারের ভোটে এনডিএ জয়লাভ করার খবর পেয়ে লোহাই গ্রাম নিবাসী বিজেপি নেতা অচিন্ত পাঁজার নেতৃত্বে গঙ্গা দে ,কৌশিক সাঁতরা ,বাবলু সিং ,শম্ভু সিং , জয়ন্ত ঘোড়ুই ও হিরু সাঁতরা প্রমুখরা উজ্জীবিত হয়ে ওঠে । তারাই রাতের অন্ধকারে লোহাই গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের দেওয়ালে অাঁকা থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির মুখে ও  অন্যান অংশে গোবর লেপে দিয়েছে। অসীম বাবু পুলিশকে আরও জানিয়েছেন ,কয়েকদিন আগে বিজেপির দুস্কৃতিরাই স্থানীয় নলে গ্রামে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর ছবির উপরে অশ্লীল ভাষা লিখে ছিল । মঙ্গলবার রাতে রায়না ২ ব্লকের আড়ুই গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিজেপির দুস্কৃতিদের যোগসাজস রয়েছে বলেও অসীম পালের অভিযোগ ।  যদিও তৃণমূল নেতার তোলা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রায়না বিধানসভার ১০ নম্বর জেড পির বিজেপি সহ সভাপতি অচীন পাঁজা । তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু মাত্র তৃণমূল নেত্রী নন , তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ছবিতে গোবর লেপে দেওয়া কিংবা ছবি বিকৃত করার কালচারে বিশ্বাস করেনা বিজেপি । লোহাই গ্রামের কোন বিজেপি কর্মী এই ঘৃণ্য ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় ।  অচীন বাবু দাবি করেন ,ঘটনা বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে । তৃণমূল নেতৃত্বও পৃথক ভাবে তদন্ত করুক । আমরাও চাই যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা শাস্তি পাক ।তবে সত্য উদঘাটনের আগেই তৃণমূলের লোকজন এদিন সকাল থেকে যে ভাবে বেছেবেছে  লোহাই গ্রামের বিজেপি কর্মীদের উপরে সন্ত্রাশ শুরু করে দিয়েছে তা কোনভাবেই কাম্য নয় ।” জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন ,“ বিজেপি কর্মীদের ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে । সন্দীপ নন্দী জানান ,লোহাই গ্রামে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বকেও তিনি সবিস্তার জানিয়েছেন । “

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।